ডগ ওয়াকিং এর উপকারিতা Benefit of dog walking

আপনার পোষা প্রাণী এর সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করা কিংবা পোষা প্রাণী কে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়া Benefit of dog walking, আপনার এবং আপনার পোষা প্রাণী উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো। আপনার পোষা প্রাণী আপনার সাথে হাঁটতে বের হওয়ার জন্য দরজার পাশে অপেক্ষা করছে আর লেজ নাড়াচ্ছে, এটা আপনার মন ভালো করে দেওয়ার মত একটা ব্যাপার। এরকম একজন সঙ্গীর সাথে হাঁটতে বের হওয়া সত্যিই দারুন উপভোগ্য এবং ডগ ওয়াকিং এর উপকারিতাো রয়েছে।

আপনার এবং আপনার পোষা কুকুরকে সুস্থ রাখতে Benefit of dog walking

নিয়মিত পোষা প্রাণীকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়া পোষা প্রাণী এবং তার প্যারেন্ট উওভয়ের জন্য বেশ উপকারী। এতে উভয়ের স্বাস্থ্য সুথ থাকে। নিয়মিত হাঁটতে বের হলে পোষা প্রাণী এর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী দিক গুলো হচ্ছে কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস ইম্প্রুভ হয়, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে, নিয়মিত হাঁটার ফলে শক্তিশালি হাড় এবং পেশী তৈরি হয়, এবং স্ট্রেস কমায়।

আপনার পোষা প্রাণীকে যদি সুস্থ রাখতে চান তাহলে তাকে সাথে নিয়ে নিয়মিত হাঁটতে বের হন, এটা আপনার পোষা প্রাণী এর সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। অস্টিওআর্থারাইটিস, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, লিভারের রোগ এবং ইনসুলিন রেসিস্টেন্স এর মত সমস্যার জন্য অবেসিটি বা স্থূলতা দায়ী। তাই অবেসিটি বা স্থূলতা এড়াতে আপনার পোষা প্রাণীকে সাথে নিয়ে নিয়মিতো হাঁটতে যাওয়া জরুরী।

বেশিরভাগ কুকুরের প্রজাতির ক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত একবার হাঁটতে যাওয়া উচিত। তবে কিছু প্রজাতির কুকুর বিশেষ করে যেসব কুকুর বেশি এক্টিভ তাদের ক্ষেত্রে আরো বেশি প্রয়োজন হতে পারে। অর্থাৎ আপনার পোষা কুকুরটিকে সাথে নিয়ে আপনি কতক্ষন হাঁটবেন বা কতক্ষন হাঁটা উচিত না নির্ভর করে আপনার পোষা কুকুরের প্রজাতি, তার ফিটনেস এবং বয়সের উপর।

সাধারণত পোষা কুকুরদের সাথে নিয়ে বাইরে হাঁটতে বের হলে তারা খুব খুশি হয় এবং এটা উপভোগ করে। তারা বাইরের পরিবেশের ঘুরে বেড়াতে সত্যিই খুব পছন্দ করে এবং এতে আপনারও সময় কেটে যাবে, যা আপনার একঘেয়েমি দূর করতে কাজ করে। যদি আপনার পোষা কুকুরকে নিয়মিত ব্যায়াম করানো না হয় তাহলে সে একঘেয়েমি জীবনে বিরক্ত হয়ে যাবে এবং এতে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পোষা প্রাণী প্যারেন্টের সুস্বাস্থ্যে পোষা প্রাণী এর ভূমিকা

বিশ্বজুড়ে এক গবেষনায় পাওয়া যায়, পোষা প্রাণী প্যারেন্টের সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে তাদের পোষা প্রাণী এর ভূমিকা রয়েছে। যেমনঃ

  • যারা পোষা প্রাণী সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হয় তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মিশুক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
  • ডেন্টিস্ট সার্জারির জন্য অপেক্ষা করা রোগীদের নিয়ে করা একটি জরিপে দেখা যায়, একুরিয়ামের মাছের সাঁতার কাটতে দেখা, তাদের মানসিক চাপ কমাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • পোষা প্রাণীকে স্ট্রোকিং এবং প্যাটিং এর ফলে উচ্চরক্তচাপ সহ বিভিন্ন স্ট্রেস এর সাকোলজিক্যাল ইনডিকেটর হ্রাস পায়।
  • পোষা প্রাণীর তার প্যারেন্টের প্রতি শর্তবিহীন ভালোবাসা প্যারেন্টের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে, এতে প্যারেন্টের আত্মসম্মান বৃদ্ধি পায়।

পোষা প্রাণী প্যারেন্টদের কমিউনিটিতে ডগ ওয়াকিং এর ভূমিকা

ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার দ্বারা পরিচালিত এক গবেষনায় দেখা গেছে, পোষা প্রাণী সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়ার ফলে পোষা প্রাণী প্যারেন্টদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক আরো বেশি গভীর হয়েছে। গবেষকরা দেখেছেনে , পোষা প্রাণী প্যারেন্টরা বিশেষ করে পোষা কুকুরের প্যারেন্টরা, পোষা প্রাণী সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হলে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করছে, প্রতিবেশিদের সাথে কুশল বিনিময় করছে, আশেপাশের অন্যদের খোঁজ খবর নিচ্ছে, এতে তাদের সামাজিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হচ্ছে।

ডগ ওয়াকিং- কুকুর পছন্দের সময় সতর্ক থাকুন

আপনি যদি খুব বেশি এক্টিভ না হয়ে থাকেন তাহলে একটি কুকুর পোষা শুরু করলে আপনার দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। কিন্ত তাড়াহুড়ো করে কুকুর কেনার আগে সবকিছু যাচাই করে পরিকল্পনা করে এগুনো উচিত। আপনাকে কুকুরের এমন প্রজাতি বাছাই করতে হবে যা আপনার জীবনধারার জন্য উপযুক্ত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি আপনার এপার্ট্মেন্ট এর আকার ছোট হয়ে থাকে বা চলাফেরার জন্য পর্যাপ্ত যায়গা না থাকে তাহলে যেসকল প্রজাতির কুকুর বেশ এক্টীভ হয় সেসব প্রাজাতির কুকুর না কেনা উত্তম।

ডগ ওয়াকিং Benefit of dog walking- আপনার দায়িত্ব

একজন পোষা প্রাণী প্যারেন্ট হিসেবে অবশ্যই আপনার পোষা কুকুরের নিয়মিত তত্ত্বাবধান করতে হবে, আপনার নিতন্ত্রণে রাখবে হবে, এবং আপনি ডাকলে শুনতে পাবে ও আপনার কাছে ছুটে আসতে পারে এমন দূরত্বের বাইরে যেতে দেওয়া যাবেনা। আপনার কুকুরকে নিয়মিত ট্রেনিং এর মাধ্যমে তার আনুগত্য এবং সোশ্যালাইজেশন স্কিল বাড়াতে হবে এতে সে ওয়েল ম্যানারড এবং সোশ্যালি এডজাস্টেড কুকুরে পরিণত হবে।

ডগ ওয়াকিং এর প্রস্তুতি

আপনার কুকুরকে যেভাবে ডগ ওয়াকিং এর জন্য প্রস্তুত করবেনঃ

  • হাঁটতে বের হওয়ার আগে স্ট্রেচিং করতে পারেন- প্রথমে আপনার এক পা একবার সামনের দিকে প্রসারিত করুন তারপর একবার পিছনের দিকে, তারপর অপর পা, তারপর দুই হাত।
  • কুকুরের হাঁটার সরঞ্জাম গুলো (ডগ লিশ এবং ওয়াকিং শু) যেন তার জন্য আরামদায়ক হয় এবং কোন ব্যাথা পাওার কারণ না হয় তা নিশ্চিত করুন।
  • নিজেকে এবং আপনার পোষা কুকুর উভয়ের জন্যই অত্যাধিক তাপ এবং রোদে পোড়া এড়িয়ে চলুন। হাঁটতে বের হওয়ার আগে এবং হাঁটা চলাকালীন প্রচুর পরিমান পানি পান করুন। তুলনামূলক ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে দিনের এমন সময়ে হাঁটতে বের হন, গরমের সময় হ্যাট, লং ক্লোথ, সানগ্লাস এবং সানস্ক্রিন ব্যাবহার করে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করুন।

ডগ ওয়াকিং টিপস

আপনার পোষা কুকুরকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়ার সময় খেয়াল রাখবেনঃ

  • প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৫বার, ৩০ মিনিট করে পোষা কুকুরকে সাথে নিয়ে হাঁটুন
  • “অফ লিশ” জোন না হলে আপনার পোষা কুকুরকে লিশ পড়িয়ে রাখুন। আপনার এলাকার কোথায় পোষা কুকুরদের ব্যায়াম করার যায়গা আছে তা জানতে কাউন্সিলর এর সাথে যোগাযোগ করুন।
  • আশে পাশে ছোট বাচ্চা থাকলে আপনার কুকুরকে চোখে চোখে রাখুন
  • আপনার কুকুরের পটি পরিষ্কার এর জন্য একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ বা স্কুপ সাথে রাখুন
  • আপনার কুকুরকে আইডেন্টিফাই করতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত করুন
  • আপনার কুকুরকে ডিসেক্স করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন
  • প্রচন্ড গরমে হাঁটা এড়িয়ে চলুন
  • আপনার এবং আপনার কুকুরের পান করার জন্য বিশুদ্ধ পানি সাথে রাখুন

ডগ ওয়াকিং এর উপযুক্ত পরিবেশ

রেপন্সিবল পোষা প্রাণী প্যারেন্টরা পরিবেশ এর কথা মাথায় রাখে। তাদের পোষা প্রাণী এর কারণে যেন অন্যরা বিরক্ত না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকে। যেকল ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত তা হলোঃ

  • বেশিরভাগ ন্যাশনাল এবং স্টেট পার্কে গৃহপালিত প্রাণী নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ
  • স্টেট ফরেস্টে পোষা কুকুর নিয়ে যাওয়া যায় তবে যদি সেই পোষা প্রাণী তার প্যারেন্ট এর কন্ট্রোলে থাকে
  • কিছু লোকাল পার্ক এবং সমুদ্র সৈকতে পোষা প্রাণীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে। তবে এর লোকেশন এবং সময় সম্পর্কে লোকাল কাউন্সিলরের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উত্তম
  • আপনার পোষা কুকুর দ্বারা কোন ব্যাক্তি, সম্পত্তি বা বন্যপ্রাণীর কোন ধরনের ক্ষতি সাধন হলে পোষা প্রাণী প্যারেন্ট হিসেবে এর দায়ভার সম্পূর্ন আপনার।

আপনার কুকুরকে সাথে নিয়ে নিয়মিত হাঁটতে বের হওয়ার উপকারিতাঃ

১. কুকুরের সুস্বাস্থ্য রক্ষাঃ

অবেসিটি বা স্থূলতা একটি রোগ। আপনার আদরের পোষা কুকুরটিকে এই রোগ এর ঝুঁকি কমাতে তাকে নিয়মিত ব্যায়াম করাতে হবে Benefit of dog walking। আর সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী ব্যায়াম হচ্ছে পোষা কুকুরকে সাথে নিয়ে নিয়মিত হাঁটতে বের হওয়া। এতে তার দেহের ক্যালরি বার্ণ হবে এবং অবেসিটি বা স্থূলতা রোগের ঝুঁকি কমবে।

২. জয়েন্ট হেলথঃ

ইমবলিটি আর একটি কমন স্বাস্থ্য জনিত সমস্যা। এটা থেকে রক্ষা পেতে হলে শরীরের সব কয়টি জয়েন্ট কে সচল রাখতে হবে। মানুষ কিংবা অন্য যেকোন প্রাণী কোন ধরনের নড়াচড়া না করে শুধু বসে থাকলে জয়েন্টগুলো স্টিফ বা শক্ত হয়ে যায়। মানুষ কিংবা পোষা প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই এধরনের সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম বা হাটাচলা করা উচিত।

৩. ডাইজেস্টিভ এবং ইউরিনারি হেলথঃ

নিয়মিত হাঁটা পরিপাক্তন্ত্র নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ম্নাউষের মতই পোষা প্রাণিরা রুটিন মাফিক চলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। একজন পোষা প্রাণী প্যারেন্ট হিসেবে আপনার উচিত আপনার পোষা কুকুরকে নিয়মিত হাঁটতে নিয়ে যাওয়া। এতে সে এই রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। এতে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের মত সমস্যাও এড়ানো যায়। এছাড়া ইউরিন দীর্ঘক্ষন ধরে ব্লাডারে আটকে রাখলে ব্লাডার ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, তাই ব্লাডার খালি করার জন্যও হাটাচলা বেশ কার্যকরী।

৪. মেন্টাল হেলথ বা মানসিক স্বাস্থ্যঃ

কুকুরেরা সাধারণত চুপচাপ বসে থাকতে পছন্দ করেনা। কিছু করার মত না পেয়ে ঘরের ভেতর ছুটোছুটি করলে তার আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ঘরের জিনিসপত্রও নষ্ট হতে পারে। তাই আপনি যদি আপনার কুকুরকে বাইরে হাঁটতে নিয়ে যান তাহলে সে খুশিই হবে। এতে তার শরীরের পাশাপাশি মানসিক ব্যায়ামও হয়। বাইরের পরিবেশে নতুন নতুন কিছু দেখা আপনার কুকুরের জন্য খুব এক্সাইটিং হবে। এছাড়া হাঁটার ফলে শারিরীক পরিশ্রম হয়, যা তাকে রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।

৫. ইমোশনাল হেলথঃ

ডগ ওয়াকিং এর উপকারিতা: আপনার পোষা কুকুরের আপনার প্রতি অবশ্যই ইমোশন থাকবে। তার পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে আপনি। সে সবসময় চাইবে আপনার মনোযোগ তার দিকে থাকুক। পোষা কুকুরকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হলে আপয়ান্র এবং আপনার পোষা কুকুরের মধ্যে বন্ধন আরো গভীর হবে।

জিজ্ঞাসা

পোষা কুকুরকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন হাঁটতে বের হওয়া উচিত?

আপনার পোষা কুকুরকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন হাঁটতে বের হওয়া আপনার এবং আপনার পোষা কুকুর উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক উপকারী। এতে আপনার এবং আপনার কুকুরের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে। নিয়মিত হাঁটা উচ্চ রক্তচাপ, লিভার ডিজিজ এবং ডায়াবেটিস এর মত বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি কমায়। আপনার কুকুরকে ফিট রাখার সবচেয়ে সহজ কিন্ত কার্যকরী উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো তাকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন হাঁটতে বের হওয়া।

পোষা কুকুরের জন্য সপ্তাহে ১বার হাঁটা কি যথেষ্ট?

বিশেষজ্ঞদের মতে সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৩০মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। পোষা প্রাণীদের ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম নয়। প্রতিদিন ৩০মিনিট ব্যাইয়ামের ফলে শরীর ফিট থাকে। আপনার পোষা কুকুরের ফিট থাকার জন্য কতটুকু ব্যায়াম করতে হবে তা নির্ভর করে আপনার পোষা কুকুরের প্রাজাতির উপর। তবে একটি কুকুরের জন্য দিনে কমপক্ষে অন্তত ১বার হাঁটা জরুরী, ২বার হলে আরো ভালো।

কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়াই কি কুকুরের জন্য যথেষ্ট ব্যায়াম?

এক কথায় উউতর দিতে গেলে উত্তরটি হলো হ্যা, নিয়মিত হাঁটতে বের হওয়াই আপনার পোষা কুকুরের জন্য যথেষ্ট। প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন পোষা প্রাণী প্যারেন্ট রয়েছে যারা তাদের পোষা কুকুরকে সাথে নিয়ে নিয়মিত হাঁটতে বের হয় এবং এটাই কুকুরদের ব্যায়াম হিসেবে যথেষ্ট।

Leave a Comment